জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে: এক সাধুর উত্থান ও ট্রাজিক পতন


পারভেজ সেলিম


(পর্ব : ০৭)

ভারতের ইতিহাসে প্রথম ইমার্জেন্সীর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭৭ সালের জাতীয় নির্বাচণে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়।ইন্দিরা গান্ধী পরের নির্বাচনে জেতার জন্য তখন মরিয়া।

পাঞ্জাবে জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালা নামের ৩০ বছরের এক তরুণ ধর্মীয় রাজনীতির হিংসাত্বক ও উস্কানীমুলক কথা বলে জনপ্রিয় হচ্ছেন।

ভারতে মুল রাজনীতিতে সাধুর সেই ইমেজকে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস। এগিয়ে আসলেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা জ্ঞানী জৈল সিং। প্রথমে ভেবেছিল পাঞ্জাবের রাজনীতির প্রধান তিন কুশিলব আকালী পার্টির প্রকাশ সিং বাদল, হরচান্দ সিং লোঙ্গোয়াল ও গুরচরণ সিং তোহরার মধ্যে ভাঙ্গণ ধরাবেন।

পাঞ্জাবের রাজনীতিকে কংগ্রেসের অনুকুলে নেবার  এই পরিকল্পনা তিনি বাতিল করেন। কারণ নতুন আইডিয়া তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তখন।

পাঞ্জাবের ২৩ জন নতুন ধর্মীয় গুরুর একটা তালিকা  তৈরি করেন তিনি। সেখান থেকে তুরুপের তাস বের করে, রাজনীতিতে ধর্মীয় খেলা খেলে নিজেদের ফায়দা লুটার সকল বন্দোবস্তো প্রস্তুত করেন।

সেই ২৩ জনের তালিকার একজন হলেন জার্নেল সিং ভিন্দ্রাওয়ালে।

জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে : এক সশস্ত্র শিখ সাধু

তিনি ছিলেন দমদম তাকশীল নামের খুবই প্রভাবশালী একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ তম প্রধান। পরবর্তী কয়েক বছরে পাঞ্জাব ছাড়িয়ে পুরো ভারতবর্ষে তার নাম ছড়িয়ে পড়বে। ভারতের রাজনীতির ইতিহাস বদলে দেবে এই তরুন সাধু।

উত্তাল দামামা শুরু :

এ সময়  শিখরা দুটো ধর্মীয় দুগ্রুপে বিভক্ত হয়ে গেছে পাঞ্জাবে। নিরঙ্কারী ও কট্টোর খালসা পন্থী।

নিরঙ্কারী গ্রুপের শুরুটা মাত্র কিছুদিন আগে।

 ১৮৫১ সালে বাবা দয়াল দাস শিখ ধর্মীয় বিশ্বাসের সংস্কারে কিছুটা হাত দেন। নিরাকার স্রস্টার উপাসনার উপর জোর দেন তিনি এবং গুরু গ্রন্থ সাহেবকে শেষ গুরু হিসেবে মানতে অস্বীকার করেন। বলে এই গ্রন্থ পরীবর্তনশীল।

এরপর অনেকে গুরু গোবিন্দ সিং নয়, বাবা দয়াল দাসকে তাদের নতুন গুরু মানতে শুরু করেন এবং গ্রন্থসাহেবকে একমাত্র গ্রন্থ মানতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে তারাই ‘নিরঙ্কারী শিখ’ নামে পরিচিতি পায়।

আর যারা এমন নতুন সংস্কারের বিরোধী তারাই মুলত ‘খালসা শিখ’। খালসা শিখরা নিরঙ্ককারীদের বেধর্মী বলে ঘোষণা করেন। ভিন্দ্রানওয়ালে ছিলেন দ্বিতীয় গ্রুপে।

স্বর্নমন্দিরে তার অনুসারীদের নিয়ে আবাস গড়েন ১৯৮৪ সালে

১৯৭৮ সালের ১৩ এপ্রিল।

পাঞ্জাবের অমৃতসরে নিরঙ্করীদের একটি অধিবেশন করা অনুমতি দেয় ক্ষমতাশীল আকালী দল। গুরবচন সিং তখন নিরঙ্কারী শিখদের নেতা।

১৩ এপ্রিল ফৌজা সিং নামের একজন কট্টোর খালসা শিখের নেতৃত্বে একটা মিছিল বের হয় স্বর্ণমন্দির হতে।

নিরঙ্করীদের সমাবেশের কাছে এই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফৌজা সিং সহ ১৬ জন মানুষ নিহত হন। যার মধ্যে তিনজন ছিল নিরঙ্কারী বাকিরা ছিলেন খালসা শিখ।

এই মিছিলে ভিন্দ্রানওয়ালেও ছিলেন। তিনি পালিয়ে কোন মতে বেঁচে যান।

 জৈল সিং আর সঞ্জয় গান্ধীরা হয়ত এমন সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এই হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে কংগ্রেস খালসা শিখদের সমর্থন করতে লাগলো। ধর্মীয় উন্মাদনাকে রাজনীতির মাঠে পৃষ্ঠপোষকতা করতে শুরু করলো কংগ্রেস।

এসময় ভিন্ড্রানওয়ালের হিংসাত্বক ও উস্কানীমুলক কথায় শিখরা আরো উগ্রবাদি হতে শুরু করলেন। পাঞ্জাব ছাড়িয়ে পুরো ভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলেন তিনি। বিশেষ করে তরুণরা তার কথা বিশ্বাস স্থাপন করতে শুরু করলেন অন্ধের মতো।

কংগ্রেসের প্রোপাগান্ডা মেশিন এই সময় ভিন্দ্রাণওয়ালেকে শিখ ধর্মের মহানায়ক বানিয়ে ছাড়

ভিন্দ্রানওয়ালে একজন কট্টোরপন্থী খালসা শিখ সাধু ছিলেন। আকালী দলের স্বায়িত্বশাসনের ধারণায় তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি চাইতেন স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র মানে ‘আনন্দপুর রেজুলেশনের’ পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন। তার কাছে এটিই একমাত্র সমাধান।

‘খালিস্তান আন্দোলেন’র কেন্দ্রীয় ব্যক্তিতে পরিনত হন ভিন্দ্রানওয়ালে।

যদিও তিনি নিজে কখনো আলাদা একটা দেশের কথা নিজ মুখে বলেনি তবু আন্দোলনের স্বশস্ত্র যুদ্ধকে তিনি সমর্থন করতেন।

সাধারণ শিখদের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন

১৯৭৮ সালের ৬ আগস্ট একটি নতুন দল গঠন করা হয়, নাম ‘দল খালসা’।  যাদের মুল কাজই হলো ভিন্দ্রানওয়ালেকে প্রমোট করা।

এর পিছনের কড়কাঠি ও অর্থযোগান সবই কংগ্রেসের হাতে। ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেসের ধর্মীয় বি টিম হলো ‘দল খালসা’।

খালসা দলের সদস্যরা সবাই ভিন্দ্রানওয়ালের অনুসারী বলে ঘোষণা দিলেন।

সংবাদ সম্মেলন করে দলের উদ্দেশ্য পরিস্কার করলেন ‘স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠায় তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

যদিও ভিন্দ্রানওয়ালে নিজে কখনো এই দলের সাথে সম্পৃক্ততার কথাও স্বীকার করেননি। স্পষ্ট অস্বীকারও করেননি।

 ১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস পরাজিত হয়েছিল কিন্তু মাত্র দুই বছরের মধ্যে জনতা দলের  সরকারের অবস্থা টালমাটাল হয়ে যায়। যেকোন সময় পড়ে যাবে।

এসময় নতুন ধর্মীয় রাজনৈতিক দল ‘দল খালসা’ নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই এর একটা সুযোগ পায়।

গুরুদুয়ারা পরিচালনা কমিটির নির্বাচণ হয় ১৯৭৯ সালে। ‘এসজিপিসি’র সেই নির্বাচনে ভরাডুবি হয় ‘দল খালসার’। মাত্র ৪ টা সিট পেয়েছিল তারা।

বোঝাই যাচ্ছে কংগ্রেসের ‘দল খালাসা’  বানানোর এই চালাকি শিখ জনগন বুঝে ফেলেছিল।

আকালী দল যদিও এই নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছিল কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয়না তাদের সুখ।

১৯৭৯ সালে জনতা জোটের পতন হলে নতুন নির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালে সাধারণ নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধিকে ব্যাপক সমর্থন করেন ভিন্দ্রানওয়ালে।

লালা জগৎ নারায়ন। সাংবাদিককে হত্যা করে তার অনুসারিরা

এবার ভিন্ড্রানওয়ালার ধর্মীয় ইমেজকে কাজে লাগিয়ে পাঞ্জাবে সরাসরি রাজনীতি শুরু করে কংগ্রেস।

এরফলে কংগ্রেস আশা করেছিল ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মীয় সকল পাঞ্জাবী ভোটারকে তারা নিজের দলে ভেড়াতে পারবে।

ধর্মভিত্তিক আকালী দলকে পরাজিত করার জন্য কংগ্রেসের একমাত্র হাতিয়ার তখন ভিন্দ্রানওয়ালে। কিন্তু গল্প তো কংগ্রেসের হাতে নয় লেখা হচ্ছে অন্যকারো হাতে।

৪ আগস্ট, ১৯৮২ সালে রাজনীতির গল্পে নতুন মোড় নেয়।

কংগ্রেস ও ভিন্ড্রানওয়ালে জোটে  আকালী দল কোনঠাসা হয়ে পড়ছিল পাঞ্জাবে। এবার তারা রাজনীতির মাস্টারস্ট্রোক খেলে।

‘ধর্মযুদ্ধ মোর্চা’ নামে নতুন একটি মঞ্চ তৈরি করে। প্রধান আকর্ষণ হলো জার্নেইল সিং ভিন্ড্রারওয়ালে ও আকালি দল প্রথমবারের মতো মহাজোট গঠণ।

কংগ্রেসের চাইতে আকালী দলের প্রতি আস্থা ছিল খালিস্তান পন্থীদের। এতদিন ব্যাটে বলে হচ্ছিল না। এবার ঘটে গেল।

কংগ্রেসের পর ভিন্ড্রানওয়ালের উপর শুরু হলো আকালী দলের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা।

‘ধর্মযুদ্ধ মোর্চা’ শেষ পর্যন্ত ভিন্ড্রানওয়ালের সেনাবাহিনীর মতো কাজ করতে শুরু করেছিল।

আইন অমান্য করার যেন এক আন্দোলন শুরু করেছিল ভিন্দ্রানওয়ালা ও তার সমর্থকেরা। সরকারের ভিতরে ভিন্ড্রানওয়ালের সরকার চলতো।

তার গোটা রাজ্যে আতংক ও ভয়ের রাজ্য কায়েম করতে  সমর্থ হয় কয়েক মাসের মধ্যেই।

‘আনন্দপুর সাহেব রেজুলেশন’কে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করাই ছিল এই মঞ্চের উদ্দেশ্য।

সকল সমস্যার সমাধান তিনি এই স্বর্ণমন্দিরের ভিতরে আকাল তখতে বসে দিতেন।

এর মাস খানিক আগে ১৯ জুলাই,১৯৮২ সালে ভিন্ড্রানওয়ালে স্বর্নমন্দিরে গিয়ে পুরোপুরি আবাস গেড়েছেন।

কয়েকমাস পর শিখদের ন্যায়বিচার ও সমসাময়িক বিষয়ের সর্বোচ্চ কতৃপক্ষ হিসবে পরিচিত ‘আখাল তকথ’ এ গিয়ে বসেন।

এখান থেকে তার বিচারকার্য ও ‘ধর্মযুদ্ধ মোর্চা’র সকল কাজ পরিচালনা করতে থাকেন।

ভিন্দ্রানওয়ালের ততদিন  একজন কঠিন ন্যায়বিচারক হিসেবে সাধারণ শিখদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

 যে সবার সমস্যার দ্রুত সমাধান দিয়ে দিতেন এবং দুই পক্ষ তা মানতে বাধ্য হত।

জমি, বিয়ে, মারামারি কিংবা যে কোন বিরোধের আইনী কাঠামোর বাইরে গিয়ে তিনি সমাধার দিয়ে দিতেন। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হতো বলে তার জনপ্রিয়তা হুহু করে বাড়তে থাকে।

কখনো কখনো সমাধান খুবই নির্মম হতো। কারো কারো নামে মৃত্যুদন্ডও দিতেন তিনি এই আকাল তখতে বসে।

এর ফলে এসময় রাজ্য জুড়ে হিংসাত্বক ঘটনা বাড়তে  থাকে খুব দ্রুত। ইতিমধ্যে ১৯৮০ সালের নির্বাচনে  ইন্দিরা গান্ধী জয় লাভ করে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

ভয় এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করেছিলেন তিনি।

১৯৮১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর।

একটি গাড়ি যাচ্ছিল পাঞ্জাবের পটিয়ালা থেকে জলন্ধরের দিকে। গাড়িতে যিনি বসে আছেন তিনি হলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বর্তমানে পাঞ্জাবী কেশরী পত্রিকার সম্পাদক। নাম লালা জগৎ নারায়ণ।

হঠাৎ দু্ই বিন্দুকধারী মোটরসাইকেল নিয়ে জানালার পাশ দিয়ে গুলি করে  প্রকাশ্যে হত্যা করেন লালাকে।

তার অপরাধ পাঞ্জাবে শিখ- হিন্দু এবং পাঞ্জাবী-হিন্দি ভাষার যে মেরুকরণ শুরু হয়েছে, লালা জগৎ নারায়ণ  হিন্দি ও হিন্দুর পক্ষে কাজ করছেন।

ফলাফল জীবন দিতে হলো তাকে। হত্যার জন্য দায়ী করা হলো ভিন্ড্রানওয়ালাকে।

লালার হত্যাকাণ্ডে এবার সক্রিয় হলো পাঞ্জাব পুলিশ। জার্নেইল সিং ভিন্ড্রাওয়ালের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলো। তখন হরিয়ানার কোনো এক গ্রামে অবস্থান করছিলেন তিনি।

কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের তৎকালীণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্ঞানী জৈল সিং আবারো সামনে আসেন।

তার হস্তক্ষেপে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল বিষ্ণু ভিন্দ্রাণওয়ালেকে সাবধান করে দেন। পাঞ্জাব পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হরিয়ানা পুলিশ জার্নেইলকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।

বোঝাই যাচ্ছে কংগ্রেস সরকার কিভাবে নিজেরাই বিশাল করে তুলছেন ভিন্ড্রানওয়ালেকে। নিজের বানানো মনস্টারের কাছে একদিন নিজেদেরই ধরা খেতে হবে। খুব দ্রুত সেই দিনটি ঘনিয়ে আসতে শুরু করে।

প্রাদেশিক পুলিশের ডিআইজি আবতার সিং আটওয়াল

 ২৩ এপ্রিল,১৯৮৩

প্রাদেশিক পুলিশের ডিআইজি আবতার সিং আটওয়াল স্বর্নমন্দিরে গেছেন প্রার্থনা করতে।

মন্দিরের সিঁড়িতেই গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। দুঘন্টা লাশ পড়ে ছিলো রক্তাত্ব সিঁড়িতে।

ভিন্ড্রানওয়ালের অনুমতি ছাড়া কেউ লাশ ধরতে সাহস করছিলেন না। পুলিশদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছিল। কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেননি।

শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে ভিন্ড্রানওয়ালের কাছে অনুমতি নেন পুলিশের লাশ সরানোর। অবতার সিং এর অপরাধ তিনি ভিন্ড্রানওয়ালের সহিংস কর্মকান্ড সমর্থন করতেন না।

বোঝাই যাচ্ছে সরকারের ভিতর আরেক সরকার রাজ্য চালাচ্ছে। যার প্রধান হচ্ছেন ভিন্ড্রানওয়ালে। রাজ্য সরকারের চাইতে তারাই বেশি শক্তিশালী। তার কথাই রাজনীতিবিদ, পুলিশ, প্রশাসন সবাই উঠছেন আর বসছেন।

ভিন্ড্রানওয়ালে পাঞ্জাবে যখন এক নৈরাজ্য ও ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে সমর্থ হন তখন ঘটে আরেক ঘটনা।

একটি হিন্দু বাস রাস্তায় আটকিয়ে ৫ জন হিন্দুকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। অভিযোগ ভিন্দ্রানওয়ালের সন্ত্রাসীরা এই অপকর্ম করেছে।

এই হত্যাকান্ডে ভারতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

১৯৮২-১৯৮৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র দুই বছরে ১২০০ হিংসাত্বক ঘটনা ঘটে পাঞ্জাবে। নিহত হয় ৪৫০ জন।

পাঞ্জাবে রাষ্টপতি শাসন চালু করতে বাধ্য হল কংগ্রেস সরকার।

ভিন্ড্রাণওয়ালেকে গ্রেফতার করা ছাড়া ইন্দিরা গান্ধীর আর কোন রাস্তা খোলা থাকলো না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কি পারবেন এই শিখ সাধুকে গ্রেফতার করতে?

কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন তিনি? আর কে এই জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে? 

(চলবে..)


পারভেজ সেলিম

লেখক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকর্মী


‘খালিস্তান আন্দোলন’ আরো কয়েকটি পর্ব পড়ুন :

পর্ব : ০১ : খালিস্তান: শিখদের স্বপ্নের স্বাধীন দেশ

পর্ব : ০২ : গুরু নানক: যার হাতে নতুন ধর্মের শুরু

পর্ব : ০৩ : দশ গুরু: শিখ ধর্ম যাদের হাতে গড়ে উঠেছে

 পর্ব : ০৪ : পাঞ্জাবের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও দেশভাগের প্রবঞ্চনা!

 পর্ব : ০৫ : পাঞ্জাব: দেশভাগের পরের উথাল পাতাল রাজনীতি

 পর্ব : ০৬ : খালিস্তান: প্রবাসী সরকার ও পাকিস্তানের মদদ

পর্ব : ০৭ : জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে: এক সাধুর উত্থান ও ট্রাজিক পতন

 পর্ব : ০৮ : কে এই জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে?

পর্ব : ০৯ : অপারেশন ব্লু স্টার: ইন্দিরা গান্ধির শেষ যুদ্ধ !

পর্ব : ১০ : ইন্দিরা গান্ধী হত্যা: শিখদের হাতেই জীবন উৎসর্গ!


১৩৬ thoughts on “জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে: এক সাধুর উত্থান ও ট্রাজিক পতন

  1. к чему снится незнакомый мужчина ломится в дверь, рвется в дверь
    мужчина во сне кран во сне исламский сонник, к чему снится кран строительный к
    чему снятся грибы во сне женщине видеть
    21 век это какие года, 22 век это какой год к
    чему снится беременность своя тройней

  2. какой знак зодиака у ромы из зайчика если снятся чайные пакетики башня мысли мужчины, башня чувства мужчины
    форум
    22 февраля праздник, 22 февраля 2024 дева и телец:
    совместимость в процентах, мужчина-дева женщина-телец
    начало отношений

  3. қазақ тілі олимпиада 2023,
    олимпиада қазақ тілі 5 сынып что такое облачное эцп, как скачать облачную эцп на компьютер charon baby plus испаритель
    какой лучше, charon baby plus испаритель алматы жалпақ табандылық, жалпақ табандылық себептері

  4. мен анамның асылып өлгенін армандадым курьер
    работа алматы, пеший курьер работа алматы әлемнің ғылыми сипаттамасы, ғылым философиясы
    презентация майлар туралы қызықты
    мәліметтер, майлар түрлері

  5. жаңартылған білім беру жүйесі, жаңартылған
    білім беру бағдарламасының тиімділігі эссе оксигемоглобин деген не, эритроцитоз дегеніміз не жасыл экономика мақсаты,
    жасыл экономика және тұрақты даму презентация
    екі таңбалы сандар деген не, екі таңбалы сандар жиыны

  6. тренажерный инструмент цена, купить тренажеры в астане функцияны
    зерттеудің қарапайым жоспары, сабақ жоспары математика 10 сынып ғарышкерлер күні
    сабақ жоспары, ғарышкерлер күні тәрбие сағаты балабақшада үш анық скачать,
    үш анық кітап

  7. қр қаржы нарығы, қаржы нарығы
    на русском купить тульскую гармонь б/у,
    гармошка олх алаш ұраны өлеңі, алаш ұраны текст сұлтанмахмұт торайғыров ән ауылдан адам көшкенмен, ауылдан адам көшкенмен скачать ремикс

  8. специальности гуманитарного колледжа,
    актюбинский педагогический колледж специальности блогеры
    казахстана которые помогают людям, блогеры казахстана
    список инстаграм энергоуголь караганда, кармет караганда сенат, сенат рк
    сколько депутатов

  9. аквилон личный кабинет, аквилон сантехника яблоки алматы, яблоки алматы
    история айжан нурмагамбетова дети, диас нурмагамбетов
    обучение на шугаринг алматы, курсы депиляции алматы

  10. алтын булак жк, жк алтын
    булак отзывы талисмания сочи
    2014 финал, медведь сочи 2014 әлеуметтік желінің әлегі әңгіме, әлеуметтік
    желінің әлегі туралы эссе қарағанды көмір алабы кім ашты, екібастұз көмір алабы кім ашты

  11. мысық үйден шықпай көңілсіз жүрсе, мысықтың көзіне неге қарауға болмайды әлі күнге сені ойлай гитара, жаным
    мен сени ойлай ойлай скачать
    капитал айналымы презентация көктем аруы өнер, көктем аруы сөзі

  12. дос мукасан махаббат, дос мукасан махаббат текст өмір философиясы деген
    не, өмір философиясы реферат люцерна
    цена алматы, семена люцерны в алматы
    мұрын ауруларын емдеу әдістері, мұрын қуысы аурулары презентация

  13. толғау не туралы, толғауда не
    туралы айтылады тотығу және тотықсыздану
    процесі дегеніміз не, тотығу тотықсыздану реакциялары 10 сынып қмж қысқарған сөздер мысалдар, қысқарған сөздер сөйлем
    лидер идеал казахстан, лидер атырау сайт

  14. рекомбинантты днқ технологиясының артықшылығы, рекомбинантты днқ презентация мұз сарайы шымкент расписание, каток шымкент расписание мега
    жаксы соз жарым ырыс магынасы,
    жақсы сөз жарым ырыс жалғасы как пожениться в казахстане иностранцам, как пожениться в казахстане
    россиянам

  15. өмірдің мәні неде цитата, өмірдің мәні өлең ұнатамын мен сені
    бірақ бірақ, мұқағали мақатаев ұнатамын мен сені текст ауызашар актобе,
    время ауызашар актобе 2023 девиантты мінез құлық,
    девиантты мінез-құлық зерттеген
    ғалымдар

  16. газоанализатор, газоанализатор фреона
    қате жазылған сөзді табыңыз, қате
    жазылған сөзді тап себебін айт тоо юг-электрокомплект,
    юг электрокомплект алматы прайс-лист күй аңызы кейіпкерлері, күй аңызы
    идеясы

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x