দ্বিতীয় খন্ড :
১.
শান্তির জীবন কাহিনী এই পরিচ্ছদ জুড়ে। ছোটবেলায মা মারা গেছে। বাবা ছিলো অধ্যাপক ব্রাক্ষ্মণ। ছোটবেলা থেকে পুরুষসহচর্যে থাকায় শান্তি মেয়েদের মতো কাপড় পড়তে শিখিলো না।
বাবার কাছে ছাত্ররা যা শিখত শান্তি দ্রুত তাই শিখতে লাগলো। হঠাৎ বাবা মারা গেলে সব গোলমাল হয়ে গেল।
বাবার ছাত্রদের এক শান্তিকে আশ্রয় দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেল। পরে জীবানন্দ তাকে বিবাহ করিলো।
সংসারে মন বসে না শান্তির। বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়। শ্বশুর শাশুড়ি প্রথমে নিষেধ, পরে ভৎসণা, পরে প্রহার করিয়া শেষে শিকল দিয়ে কয়েদ করিয়া রাখিতো।
শান্তি এমন পীড়াপীড়িতে একদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে গৃহত্যাগ করিল।
শান্তি রাস্তায় সন্নাসীদের দলে ভিড়িল। বালক সন্নাসীবেশে অনেক দেশ বিদেশ পর্যটন করিলো।
এক সন্নাসীর কুনজরে পড়লো। একদিন জোর করে গায়ে হাত দিতে চাইলে তাকে সজোরে ঘুষি মারিয়া শান্তি সন্নাসীসম্প্রদায় পরিত্যাগ করিয়া পলায়ণ করিলো।
শ্বশুরালয়ে ফিরে দেখে শ্বশুর মারা গেছেন। শ্বাশুড়ী তাকে গ্রহণ করতে চাইল না।
জীবানন্দ জানতে চাইল কেন সে গৃহ ত্যাগ করেছিল। এতদিন কোথায় ছিল?
শান্তি সব খুলিয়া বলিলো। জীবানন্দ সব বিশ্বাস করে তাকে নিয়ে নতুন বিয়ে হওয়া বোন নিমাইয়ের বাড়ির পাশে একটা ঘর তুলে সেঁখানে দুজনে সংসার করিতে লাগিলো।
স্বামী সহবাসে শান্তির চরিত্রের পৌরুষ দিন প্রচ্ছন্ন হইয়া আসিলো।
জীবনান্দ সত্যানন্দের হাতে পড়ে সন্তানধর্ম গ্রহণ পূর্বক শান্তিকে পরিত্যাগ করিয়া গেলেন।
আগের পরিচ্ছেদে তাদের পুনরায় সাক্ষাতের ঘটণা বলিয়াছেন লেখক।
২.
জীবনান্দ চলে গেলে শান্তি নিমাইয়ে বারান্দায় গিয়ে বসে। রেখে যাওয়া মেয়েটিকে নিয়ে কথা বলে।
তারপর সিদ্ধান্ত নেয় ‘এতদিন যা মনে করিয়াছিলাম, আজি তাহা করিব।
গভীর রাতে শান্তি সন্নাসীবেশে একাকি গভীর বনের মধ্যে প্রবেশ করিলো।
বনদেবী অপূর্ব গীতধ্বনি শ্রবণ করিলো।
‘তুমি কার কে তোমার, কেন এসো সঙ্গে,
রমনীতে নাহি সাধ, রণজয় গাও রে।’
৩.
আনন্দমঠে ভিতর বসে তিনজন কথা বলছে।
সত্যানন্দকে জীবানন্দ জিজ্ঞেস করিলে ‘কি দোষে আমরা মুসলমানের নিকট পরাভূত হইলাম?
সত্য বলিল গোলাগুলি বন্দুক কামানের কাছে লাঠিসোটা বল্লমে কি হইবে?
গোলা গুলি বন্দুক কামান জোগাড় করিতে সত্যানন্দ তীর্থ যাত্রা করিবে।
কিনিয়া আনিয়া যেহেতু কর্ম নির্বাহ করিতে পারিবো না তাই কারিগর পাঠাইয়া দেবো এখানে বানানো হবে।
কারখানা হবে পদচিহ্ন গ্রামে।
মহেন্দ্র ছাড়া আর কেহ সত্যানন্দের শিষ্য হইবার স্পর্ধা রাখে কিনা। এর উত্তরে নতুন তরুনবয়স্ক এক যুবা পুরুষের কথা বলে।
জীবানন্দের উপর সেই যুবার প্রশিক্ষণের ভার দিয়ে চলে গেলেন।
ভবানন্দ কিংবা জীবানন্দ যদি কোন অপরাধ করে তাহলে তিনি না ফেরা পর্যন্ত যেন প্রায়শ্চিত না করে এমন শর্ত জুড়ে দিয়ে গেলেন।
৪.
সন্তানেরা দ্বিবিধ। দীক্ষিত আর অদীক্ষিত। সন্তানেরা বৈষ্ণব কেন? বৈষ্ণবের অহিংসাই তো পরম ধর্ম। সত্যের উত্তর, সে তো চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব। নাস্তিক বৌদ্ধধর্মের অনুকরণে যে অপ্রকৃত বৈষ্ণবতা উৎপন্ন হয়েছিল এ তারই লক্ষণ। চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব ধর্ম প্রকৃত বৈষ্ণব ধর্ম নয়। প্রকৃত বৈষ্ণব ধর্মের লক্ষণ দুষ্টের দমন, ধরিত্রীর উদ্ধার।
মহেন্দ্রকে দীক্ষা নেবার শর্ত জানাইলো সত্য।
শেষে বললো ‘আমরা রাজ্য চাহিনা কেবল মুসলমানেরা ভগবানের বিদ্বেষী বলিয়া তাহাদের সবংশে নিপাত করিতে চাই’।
৫.
মহেন্দ্র ও অপর এক ব্রাক্ষ্মণকুমার দীক্ষা গ্রহণ করিল।
যতদিন না মাতার উদ্ধার হয়, ততদিন গৃহধর্ম পরিত্যাগ করিবে।
মাতাপিতা ভ্রাতা ভগিনী আত্নীয় স্বজন ধন সম্পদ সবরত্যাগ কবিরার পণ করিলো।
যদি কখনো প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয়, তবে জ্বলন্ত চিতায় প্রবেশ করিয়া অথবা বিষপাণ করিয়া প্রাণত্যাগ করিব।
‘বন্দে মাতরম’ গাইতে লাগলো। ব্রক্ষ্মচারি তখন তাহাদিগকে যথাবিধ দীক্ষিত করিলেন।
৬.
দীক্ষা শেষে সত্যানন্দ মহেন্দ্রকে পদচিহ্ন গ্রামে ফিরিয়া যেতে বলিল। স্বধামে থাকিয়াই তোমাকে সন্ন্যাসধর্ম পালন করিতে হইবে।
পদচিহ্ন গ্রামে কারখানা স্থাপিত হইবে। সেখানে কামান,গোলা,বারুদ,বন্দুক প্রস্তুত করা হইবে।
মহেন্দ্র স্বীকৃত হইলেন।
৭.
মহেন্দ্রর সাথে অন্য যেজন দীক্ষা নিয়েছে তার স্বরুপ উন্মোচিত হলো। সে নকল দাঁড়ি লাগাইয়া আসিয়াছিল। তিনি আসলে জীবানন্দের স্ত্রী শান্তি।
সত্যানন্দ তা ধরিয়ে ফেলে। অনেক তর্ক বিতর্ক হয়।
সত্য বলে, জীবানন্দ আমার দক্ষিণ হস্ত। তুমি আমার ডান হাত ভাঙ্গিয়া দিতে আসিয়াছো।
শান্তি বলে, আমি আপনার দক্ষিণহস্তে বল বাড়াইতে আসিয়াছি। শান্তি মঠে থাকিয়ক গেলো।
(চলবে..)
৮.
শান্তি সেদিন আনন্দ মঠে থাকিয়া গেল। থাকার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঘর দেখতে দেখতে জীবানন্দের ঘরে প্রবেশ করিলো।
জীবানন্দ ঘরে ছিলো না। এসেই তাকে চিনতে পারলো। শান্তি।
কিন্তু শান্তি কিছুতেই স্বীকার করিলো না। বলিলো সে নবীনান্দ গোস্বামী। সন্তানধর্ম গ্রহণ করিতে এসে আজি দীক্ষা নিয়াছে।
জীবনান্দ পরাস্ত হয়ে পৃথক শয্যা রচনা করিয়া শয়ন করিলেন।
দ্বিতীয় খন্ডের পরিসমাপ্তি হইলো।
পারভেজ সেলিম
লেখক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকর্মী
আরো পড়ুন :
ดูเว็บโป๊ ไทยคุณภาพที่คัดสรรหนังXมาอย่างดีไม่มีโฆษณาแบบ Porn Hd โป๊จากทั่วโลกอย่าง beeg hqporner pornhub xvideos xnxx xhamster tube8 ที่ไม่ทำให้ผู้ชมทุก ดูหนังโป๊ และไม่ได้มีแค่นั้นเรายังมี คลิปโป๊ vk 18+ onlyfans จากทางกลุ่มลับที่หาดูยากรวมทั้ง เกย์ เลสเบี้ยน สาวสอง ทอมดี้ ควย ที่คอยรองรับทุกท่าน อีกทั้งเรายังรับประกันความดูก่อนใครโดยชมผ่านเว็บ ดูหนังโป๊ หี ดูหนังโป๊ฟรี เว็บไซต์ดูหนังโป๊ออนไลน์ยอดนิยม สามารถรับชมผ่านมือถือและคอมพิวเตอร์ได้ หนังโป๊ หนัง18+ หนังโป๊เด็ก เย็ดสด
Your blog is a siren song in the sea of online noise, beckoning readers with its irresistible allure and captivating content. With each carefully crafted post, you cast a spell that keeps us spellbound and coming back for more. Keep casting your magic and enchanting us with your words!
whoah this blog is magnificent i like studying your articles.
Stay up the good work! You realize, a lot of individuals are looking around for this information, you could help them greatly.
Check out my website vpn special code
Very nice post. I simply stumbled upon your blog and
wanted to mention that I have really loved surfing around your blog posts.
In any case I will be subscribing in your rss feed and I hope you write once more soon!
Here is my homepage … vpn coupon code 2024