‘অভিমানী গাছ’ শিল্পিত পারু’র কবিতা

শিল্পিত পারু’র কবিতা

অভিমানী গাছ

        

আমিও সেদিন বুকপকেটে অভিমান নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম একা 

বৃষ্টিতে ভিজে গেলে উঠান ঘর তবু অভিমান  জাপটে রইলো বুক ;

শুকিয়ে কাঠ হলে পরে সেই জমিনে জেগে উঠল চর  

কত ছোট ছোট গাছ সবুজ হয়েছে বীজের জোরে

ফোটেনি ফুল শুধু কালো মেঘ বৃষ্টি হয়নি বলে ;

আবার যখন নেমেছে আঁধার বৃষ্টিতে অবিরাম

একা বুক ভেসে গেছে বানের তোড়ে !

যখন ডুবিল জগৎ সংসার রাস্তা আর বালুয়ার চর

ডুবিলো অভিমানি ছোট মায়াময় গাছ বন্যার জলে ;

এরপর কত ঢেউ, দমকা হাওয়া, কত চাষ!!

জাগেনি গাছ, সবুজের পাখি, জ্বলেনি জোনাক জোছনার কোলে,

চিরতরে অভিমান চন্দনের চিতায় ছাই হয়েছে ভেবে;

হেঁটেছি পথ গহীন অরণ্য শেষে দাঁড়িয়েছি জলের ধারে

ব্যথার ঢেউয়ে ফোঁটা ফোঁটা ঝরলে অবহেলা ধীরে; 

বুকের সমুদ্রে চিকচিক করে ওঠে অভিমানের মাস্তুল;

জাহাজ ভিড়লে ঘাটে নেমে আসে অভিমান,

সম্মুখে দাঁড়িয়ে চেয়ে থাকে চোখ বিষ্ময়ে ! 

বুকের কোনায় কে যেন নড়ে ওঠে আবার;

অনুভবে গেয়ে ওঠে চাঁদ;

বুকের বনসাই এ আবার এসেছে পাখি

মানুষ হারায় সব হারায় না অভিমান শুধু !!

শিল্পিত পারু

বাড্ডা/ ঢাকা

২৮ thoughts on “‘অভিমানী গাছ’ শিল্পিত পারু’র কবিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x