আবির অধিকারি ।।
কোরিয়ান সিনেমার সাথে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত কিন্তু কোরিয়ান সিনেমা বললেই আমরা বুঝি অ্যাকশন বা সাইকো থ্রিলার। এর বাইরেও কোরিয়ান সিনেমার একটি জগৎ আছে। আমাদের উপমহাদেশের ঘরানা অনুযায়ী সেটাকে আমরা নাম দিয়ে থাকি ‘আর্ট ফিল্ম’ বা ধ্রুপদী সিনেমা। কোরিয়ান সিনেমা সম্পর্কে আমারও ধারণা কম। তবে যেটুকু দেখেছি, তাতে কোরিয়ান আর্ট ফিল্মের ‘গড’ বলা উচিৎ কিম কি-দুক কে।

১৯৬০ সালের ২০ ডিসেম্বরে জন্ম নেয়া এই পরিচালক পড়াশোনা করেছেন প্যারিসে চারুকলা বিষয়ে। পড়াশোনা শেষে জীবন শুরু করেন একজন চিত্রনাট্যকার হিসেবে। চিত্রনাট্যাকার হিসেবে সেরা পুরস্কারও পেয়েছিলেন সেবার৷ এরপরে শুরু ডিরেকশন।

কিম প্রথম সিনেমা ক্রোকোডাইল দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। তারপর দ্য আইল (The Isle); সামারিতান গার্ল; স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার….স্প্রিং; দ্য বো, পিয়েতা সহ বেশ কিছু সিনেমার মাধ্যমে সারা বিশ্বকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। কান, বার্লিন, ভেনিস চলচিত্র উৎসবসহ অনেকবার সেরার মুকুট পড়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে (সম্ভবত) তার নাম ওঠে মামলার তালিকায় যৌন কেলেঙ্কারির দায়ে৷ মামলাটির নিষ্পত্তিও হয়ে যায় পরবর্তীতে। কিন্তু, এরপরেও তাঁকে আর কোরিয়ার কোথাও জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর সর্বশেষ সিনেমা ‘ডিজলভ’ মুক্তি পায় এবং এ বছরের ২০ নভেম্বর (হয়তো) অভিমান নিয়েই পাড়ি জমিয়েছিলেন লাটভিয়ায়৷ ওখানকার নির্জন পরিবেশে বাড়ি কিনে শুরু করেছিলেন সিনেমার কাজ।
আগামী ২০ ডিসেম্বর ৬০ বছর বয়সে পা রাখতেন কিম কি-দুক৷ কিন্তু, সেটা আর হলোনা। করোনার মহামারী আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিলো আরো একটা ‘জেম’। গত ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার লাটভিয়ার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিম কি দুক!
তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
আবির অধিকারি