সালমান শাহ মৃত্যু : পিবিআই তদন্ত


১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দেশের সেই সময়ের শ্রেষ্ঠ নায়ক পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। তার লাশ বাসার ড্রযিং রুমে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় । কেউ বলে আত্নহত্যা কেউ বলে হত্যা ।

 প্রথমে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হলেও ১৯৯৭ সালে ২৪ জুলাই বাবা কমরউদ্দীন এটিকে হত্যা মামলায় পরির্বতন করার আবেদন করেন। ২০০২ এ তিনি মারা যাবার পর মা নীল চৌধুরী একাই লড়ে যাচ্ছেন এই মামলা। তার দাবি তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আর স্ত্রী সামিরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত । গত ২৪ বছর ধরে তিনি একাই ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে  যাচ্ছেন ।

সরকারি তদন্ত সংস্থা থেকে চারবার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে এই মামলার । থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, র‍্যাব এরপর বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি তদন্ত চালায় ১২ বছর । সবার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়  সালমান শাহ আত্নহত্যা করেছেন । কিন্ত পরিবারের না রাজির কারনে এই মামলা ২০১৭ সালে  পুনরায় তদন্তের জন্য  দেয়া হয় পুলিশ বুর‍্যো অফ ইনভেস্টিগেশন বা পিবি্আইকে ।

সেই তদন্ত শেষ ২০২০সালে ফেব্রুয়ারি মাসে। এই মাসের ২৪ তারিখ এক সংবাদসম্মেলন করে  পিবিআই জানান সালমান হত্যা নয় আত্নহত্যা করেছেন। এ জন্য তারা প্রধানত পাঁচটি কারন চিহ্নিত করেন ।

১. এক নায়িকার সাথে অন্তরঙ্গতা ২. দাম্পত্য কলহ ৩. অতিরিক্ত আবেগ প্রবনতা  ৪. মায়ের প্রতি অভিমান

৫. সন্তান না হওয়ার অপূর্নতা ।

যদিও নায়িকা শাবনুর ও সালমান শাহ মা এই তদন্ত প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করেছে।


আরো পড়ুন : সালমান শাহ: বাংলা সিনেমার এক ক্ষনজন্মা রাজপুত্র


পিবিআই ৬০০ পৃষ্টার প্রতিবেদন তুলে ধরে অআত্নহত্যার পূর্নাঙ্গ বিবরন ।

পিবিআই এর ভাষ্যমতে ৫ সেপ্টেম্বর সালমান-শাবনুরের প্রেম পিয়াসী সিনেমার ডাবিং ছিল। সেখানে সামিরা গিয়ে তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পায় । এ নিয়ে বাসায় সারারাত দ্বন্দ্ব চলে স্বামী স্ত্রীর । এসময় সালমানে মোবাইলে শাবনুরের  ফোন আসে তিনবার। শেষে ফোনটি আঁছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে সালমান।

পরের দিন সকালে সালমানের বাবা বাসায় আসলে সামিরা তাকে নাস্তা খাওয়ায়।কিন্তু সালমানের সাথে দেখা করতে পারেন না।

সকালে সালমান ঘুম থেকে উঠে পানি খায়, কাজের লোকদের সাথে কথা বলে। বেড রুমে এসে সামিরার দিকে অনেকক্ষন তাকিয়ে থেকে ফিরে গিয়ে ড্রেসিং রুমের দরজা লাগিয়ে দেয় সালমান।

এর কিছুক্ষন পর ড্রয়িং রুমের দরজা খুলছেনা দেখে সামিরাকে ডাকে কাজের মেয়ে ডলি। পরে চাবি দিয়ে দরজা খুললৈ দেখা যায় সালমান শাহ ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। সময়টা সকাল ১১.৩০।  এরপরে তাকে নামিয়ে ধরাধরি করে পাশের বেডরুমে নিয়ে যায় সবাই।

পরে দ্রুত প্রথমে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে পরে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। তারিখটা ৬ সেপ্টেম্বর,১৯৯৬। শেষ হয় বাংলা সিনেমার এক শ্রেষ্ঠ নায়কের জীবনের অধ্যায়।

ভিডিও সৌজন্য : Paru’s Cinema

১২৬ thoughts on “সালমান শাহ মৃত্যু : পিবিআই তদন্ত

  1. Духовные расстановки. Системно-семейные расстановки Системно-феноменологическая психотерапия.
    Системные перестановки. Структурные
    расстановки. Системные расстановки.
    Новые семейные расстановки.

  2. I don’t know whether it’s just me or if perhaps everyone else experiencing issues with
    your website. It appears like some of the written text
    within your content are running off the screen. Can someone
    else please provide feedback and let me know if this is happening
    to them too? This could be a issue with my internet browser because I’ve
    had this happen before. Appreciate it

  3. Hey there! I know this is kinda off topic nevertheless I’d figured I’d ask.
    Would you be interested in exchanging links or maybe guest writing a blog post or vice-versa?
    My site discusses a lot of the same subjects as yours and I feel
    we could greatly benefit from each other. If you are interested feel free to shoot me an e-mail.
    I look forward to hearing from you! Superb blog by the way!

  4. Unquestionably believe that which you stated.
    Your favorite reason seemed to be on the web the
    simplest thing to be aware of. I say to you, I
    definitely get irked while people think about worries that they
    just do not know about. You managed to hit the nail upon the top as well as defined
    out the whole thing without having side-effects ,
    people could take a signal. Will likely be back to get more.
    Thanks

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x