বনু কুরাইজা: সকল ইহুদী পুরুষের শিরোচ্ছেদের শাস্তি


পারভেজ সেলিম


সাল ৬২৭ খ্রি.

খন্দকের যুদ্ধ শেষ। মহানবী বাড়িতে ফিরে এসে গোসল করছেন। এমন সময় জিব্রাইল (আ.) এসে বিশ্বাসঘাতক বনু কুরাইজা গোত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অস্ত্র সংবরণ না করার পরামর্শ দেন।

মহানবী মুসলমানদের সাথে নিয়ে আসরের নামাজ পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বনু কুরাইজা গোত্রের সামনে গিয়ে। 

শেষ পর্যন্ত  বিশ্বাসঘাতকতা করে কুরাইশদের সাথে হাত মেলানোর অপরাে নু কুরাইজার সকল পুরুষকে শিরচ্ছেদ করা হয়। মদিনার শেষ ইহুদী গোত্রের বসবাস।

ঘটনার শুরু যেভাবে।

বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের জয়, উহুদের যুদ্ধে পরাজিত না হওয়ায় চারিদিকে মুসলমানদের শত্রুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। শুধু কুরাইশরা নয় এবার আরো কয়েকটি গোত্র যুক্ত হয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ।

মক্কার কুরাইশ, বনু গাতাফান ও বনু মুররা, বিতাড়িত ইহুদী গোত্র বনু নাদির ও বনু কানুইকা ও  মদীনার ইহুদী গোত্র বনু কুরাইজা মিলে এই বিশাল জোট গঠন করা হয়। এই বাহিনীর মধ্যে কুরাইশরা ছিল ৪০০০, গাতফানরা ছিল ৩০০০ আর বাকি উপজাতি মিলে মোট সৈন্য ছিল ১০ হাজার।

যুদ্ধে মুজাহির আর আনসার মিলে মুসলমান সৈন্য ছিল মাত্র তিন হাজার।

প্রতিপক্ষের সৈন্য ছিল মদিনার মোট জনসংখ্যাও এর চাইতেও বেশি ১০ হাজার। আর তাদের ঘোড়া ছিল ৬০০। 

খন্দকের যুদ্ধে এক নতুন কৌশল অবলম্বন করে মুসলমানেরা, পরিখা খনন করে কুরাইশের বিশাল বাহিনীকে টকে দিয়েছিল মুসলেমানরা। কোনভাবেই তারা মদিনায় আক্রমন করতে পারছিল না।

কোন উপায় না দেখে মদিনার ভিতরে থাকা বনু কুরাইজার ইহুদীদের সাথে হাত মেলায় এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। মদীনা আক্রমণ করার সুযোগ করে দেবার আশ্বাস দেয়  কুরাইজারা ।

যদিও তারা মদিনা সনদ অনুয়ায়ী মুসলমানদের শত্রুদের সাথে হাত মেলাতে পারেনা। তবে শেষ পর্যন্ত বনু কুরাইজারা কুরাইশদের সহযোগিতা বন্ধ করলেও বিশ্বাসভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হয় তারা।

৪০ দিন অবরোধ থাকার পর কুরাইশরা ফিরে যেতে বাধ্য হয় , খন্দকের যুদ্ধে জয় লাভ করে মুসলমানেরা। 

যুদ্ধ শেষে মহানবী যখন গোসল করে তখনই জিব্রাইল আ. এর  মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতক বনু কুরাইজাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার নির্দেশনা নিয়ে আসেন।

বনু কুরাইজার দুর্গ অবরোধ করলে, ২৫ দিন পর তারা মুসলমানদের কাছে আত্নসমর্পন করেন। 

তাদের শাস্তির জন্য আউস গোত্রের প্রধান গোত্রের সাদ ইবনে মুয়াজকে তাদের নেতা নির্বাচন করে। সাদ ইবনে মুয়াজ বনু কুরাইজা গোত্রের সকল পুরুষকে শিরোচ্ছেদ করা শাস্তি প্রদান করেন। এই শাস্তি প্রদানে মহানবী সঠিক বিচার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।

নারী ও শিশুদের মুসলমানদের মধ্য বন্টন করে দেয়া হয়। অতঃপর মদীনার বাজারে একটি পরিখা খন করে পুরুষ বন্দীদের এক একটি দলকে েখানে নিয়ে গয়ে িরঃচ্ছেদ করা হয় । যাদের সংখ্যা ছয় থেকে সাতশ জন।

ইতিহাসে এমন এক কালো অধ্যায় যার সুদুর প্রসারী প্রভাব পড়ে শান্তির ধর্ম নামে পরিচিত ইসলামের ইমেজে।

এভাবেই মদীনা থেকে তৃতীয় ও শেষ ইহুদী গোত্র বনু কুরাইজা শেষ হয়ে যায়। মদিনা তখন শুধু মুসলমানদের শহর। ইসলামের পবিত্র শহর।


পারভেজ সেলিম

লেখক,সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকর্মী


১১ thoughts on “বনু কুরাইজা: সকল ইহুদী পুরুষের শিরোচ্ছেদের শাস্তি

  1. Someone has truly played a crucial role in crafting remarkable articles, in my opinion. It’s my initial visit to your website, and thus far, I’m astounded by the meticulous research that went into creating this extraordinary post. Outstanding work! By the way I am a Senior Researcher at Clickmen™ providing Search Engine Optimization (SEO) & BackLink Building Services throughout European Union, United States & Canada.

  2. riches888all สุดปัง ไม่ลองไม่ได้แล้ว เว็บเกมอัพเดทเกมใหม่ตอนนี้ pg slot ที่เหมาะสมมากที่สุดกับผู้เล่นทุกประเภทที่มือใหม่รวมถึงมือเก๋า โดยที่คุณสามารถเริ่มเล่นได้เลย

  3. สล็อตเครดิตฟรี 50 ถอนได้ 300 ค่ายเกมที่กำลังเติบโตและก้าวหน้าอย่างมหาศาลในวงการเกมออนไลน์ในยุคปัจจุบัน PG ด้วยความเป็นที่นิยมและความน่าเชื่อถือของเกมที่มีคุณภาพสูง

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x